আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এপিএ মূল্যায়ন র্যাংকিংয়ে ৮ম আইডিআরএ
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি)’র বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নে দেশের ৮টি অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র অবস্থান ৮ম। দেশের বীমা খাতের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রাপ্ত নম্বর ৫৮.৮১ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাথে এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের স্বাক্ষরিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির এই চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রকাশ করা হয় বুধবার (৩০ আগস্ট) । যুগ্মসচিব ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট মাকছুমা আকতার বানু এতে স্বাক্ষর করেছেন।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি জোরদার করা, সুশাসন সংহতকরণ এবং সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে রূপকল্প ২০৪১ এর যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এক্ষেত্রে বীমা খাতে অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি ও শৃঙ্খলা সুসংহতকরণে ৬টি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা বাস্তবায়ন; বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা বাস্তবায়ন; বীমা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান; বীমা দাবি নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধি; লাইফ, নন-লাইফ বীমা পলিসি গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রবাসী কর্মী বীমা গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি।
বীমা খাতের আরো ৩টি প্রতিষ্ঠান এই চুক্তিতে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে জীবন বীমা করপোরেশন ৯৫.৮৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে ৪র্থ স্থানে রয়েছে। ৯২.২৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে ৬ষ্ঠ হয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। আর ৮৩.৬৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে ৭ম হয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি।
চুক্তিতে অংশগ্রহণকারী অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে- বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন, প্রতিষ্ঠানটির প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৫৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট, প্রাপ্ত নম্বর ৯৭.৯৫ শতাংশ।
এ ছাড়াও ৯৭.৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ। পঞ্চম স্থানে রয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, সংস্থাটির প্রাপ্ত নম্বর ৯২.৮০ শতাংশ।
আইডিআরএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র (উপসচিব) জাহাঙ্গীর আলম এ বিষয়ে বলেন, প্রথমবারের মতো ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে অংশ নিয়েছে আইডিআরএ। চুক্তির বিষয়গুলো বুঝে সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতেই বেশ কিছু সময় চলে যায়। এ কারণে গেলো অর্থ বছরে আমরা তেমন ভালো করতে পারিনি।
তবে আশা করছি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নে আমরা ভালো করতে পারব। এরইমধ্যে আমাদের কার্যক্রম অনেকটা গুছিয়ে আনা হয়েছে। বীমা কোম্পানিগুলোও এই চুক্তি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে শুরু করেছে। এপিএ কার্যক্রম পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে বীমা খাতের অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে, বলেন জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে অসাধারণ, ৯০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে অতি উত্তম, ৮০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে উত্তম, ৭০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে চলতি মান এবং ৬০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে চলতি মানের নিম্নে ধরা হয়েছে।