1 min read

গ্রাহকদের ৬২ লাখ টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করল হোমল্যান্ড লাইফ

 বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রায় চারশ’ গ্রাহকের উত্থাপিত বীমা দাবির ৬২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি। রাজধানীর মতিঝিলে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করা হয়।

হোমল্যান্ড লাইফের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বীমা কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কোম্পানিটির প্রধান উন্নয়ন কর্মকর্তা ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাদত হোসেন।

কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুৎফুন্নাহার আলোসহ সারাদেশ থেকে আগত প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শাখা ও আঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন কোম্পানি সচিব ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কোম্পানির চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, আমাদের কোম্পানির অনেক সমস্যা ছিল যেগুলো সমাধান করতে গিয়ে আমাকে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হয়েছে। তবে আমরা থেমে যাইনি। কোম্পানির উন্নয়নে এবং গ্রাহকস্বার্থ রক্ষায় আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, হোমল্যান্ড লাইফের এই দুর্দিন কাটিয়ে আমরা সুদিন ফেরাতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি। এরইমধ্যে আমরা কোম্পানিতে নতুন ম্যানেজমেন্ট নিয়োগ দিয়েছি। এই নতুন ম্যানেজমেন্টের নেতৃত্বে আমরা সব সমস্যার সমাধান করে নতুনভাবে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

জামাল উদ্দিন আরো বলেন, আজকে আমাদের বন্যাদুর্গত এলাকার কিছু গ্রাহকের চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। আশা করছি, আমাদের বাকী বীমা গ্রাহকরাও দ্রুত তাদের টাকা পাবেন। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। তিনি কোম্পানি বাঁচাতে উন্নয়ন কর্মকর্তাদের ভুয়া ব্যবসা বন্ধ করার আহবান জানান।

ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মতিন বলেন, আমাদের ৪টি স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পলিসিহোল্ডার। তাদের স্বার্থ রক্ষা এবং তাদের যথাযথ সেবা প্রদান আমাদের দায়িত্ব। আজকের এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৪শ’ পলিসিহোল্ডারের ৬২ লাখ টাকা বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে।

উন্নয়ন কর্মকর্তাদের ভালো ব্যবসা করার আহবান জানিয়ে আবদুল মতিন বলেন, ভালো কর্মী হওয়ার জন্য ভালো ব্যবসা করা জরুরি। তিনি বলেন, হাজার হাজার কর্মীর প্রয়োজন নেই। টেকসই কিছু কর্মী থাকলেই ভালো ব্যবসা করা যায়। বেশি ব্যবসা করার জন্য বেশি অফিস জরুরি নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *