জীবন বীমা কি ?
জীবন বীমা হলাে মানুষের জীবনের ঝুঁকি এড়ানাের কৌশল। জীবন বীমা কারাে অকাল মৃত্যু, রােগ ব্যধি, অবসর জীবনের আর্থিক দৈন্যদশা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। এজন্য বীমা গ্রহীতা তার নিজের জীবন বা অন্য কারাে জীবনের ঝুঁকি বীমা কারীর নিকট হস্তান্তর করে তার বিনিময়ে বীমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম পাবে এবং তার বিপরীতে বীমাগ্রহীতা বা তার নােমেনিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের প্রতিশ্রুতি যুক্ত এক চুক্তি।
জীবন বীমা আপনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেমন- দুর্ঘটনায় বা মৃত্যুতে আপনাকে বা আপনার পরিবারকে নির্ধারিত অঙ্কের আর্থিক সুরক্ষার পাশাপাশি সঞ্চয়ের সুবিধাও দেয়।বীমার মূল উদ্দেশ্য আর্থিক সুরক্ষা দেওয়া।
বীমা বিশেষত জীবন বীমা নিয়ে অনেকের নানা জিজ্ঞাসা থাকে। অনেকের নানা দ্বিধা বা উদ্বেগ থাকে। বীমার সুবিধা সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। অনেকে প্রশ্ন করেন, ব্যাংকে টাকা রেখে আর বীমা করে কি একই সুবিধা পাওয়া যায়। ব্যাংক এবং বীমা দুটি ভিন্ন আর্থিক চাহিদা পূরণ করে। ব্যাংক আপনাকে সঞ্চয় করতে সহায়তা করে। বীমা আপনাকে আর্থিক সুরক্ষার পাশাপাশি সঞ্চয় করতে সহায়তা করে।
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বা যেসব ঝুঁকি থেকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে চান, তার জন্য বীমা করা যায়। গুরুতর রোগের চিকিৎসা খরচ মেটানোর জন্য বীমা রয়েছে, যা আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে মানসিকভাবে স্বস্তিতে রাখতে সাহায্য করবে।
বীমা করার সময় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী সঠিক ‘পলিসি’ বেছে নিতে হয়। এ ক্ষেত্রে বীমা কোম্পানির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির পরামর্শ নিতে পারেন। কত টাকার বীমা করা প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং যে যে কারণে আপনি আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চান তার ওপর। আপনি হয়তো জটিল কোনো অসুস্থতার জন্য বা আপনার অবর্তমানে পরিবারের যাতে কোনো অসুবিধায় না পড়তে হয়, তার জন্য কিংবা অবসর জীবন যাতে নির্ভাবনায় কাটাতে পারেন, তার জন্য বীমা করতে চাচ্ছেন। ভবিষ্যতে ওই সময় আপনার কী পরিমাণ টাকার দরকার হতে পারে, তা চিন্তা করে বীমা করা উচিত। আর কত বছরের জন্য করা উচিত, তা নির্ভর করে যে সময়সীমার জন্য আপনি আর্থিকভাবে সুরক্ষিত থাকতে চাচ্ছেন, তার ওপর।