‘নাম পরিবর্তন ছাড়াই চলবে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স’
নাম পরিবর্তন ছাড়া-ই সকল ব্যবসায়ীক কার্যক্রম পরিচালনা করবে জীবন বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। ট্রাস্ট লাইফের নাম পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই- এমনটি জানিয়েছে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি)।
এরআগে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের নাম পরিবর্তনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ, আরজেএসসি ও পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন জানায় বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট।
বাংলাদেশ আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর এক চিঠিতে আরজেএসসি জানিয়েছে, ‘‘আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর সঙ্গে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এর নাম সাদৃশ্যপূর্ণ নয়। কোম্পানী আইনের ১৯৯৪ এর ১১(২) ধারা অনুসারে কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের আদেশ দানের সুযোগ নেই।’’
গত বছরের সেপ্টেম্বরে আরজেএসসির সহকারী নিবন্ধক রকিব আহমেদ রনি সাক্ষরিত এই চিঠির অনুলিপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ট্রাষ্ট লাইফের সিইওকে পাঠিয়েছে আরজেএসসি।
অপরদিকে, আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের চিঠির জবাবে আইডিআরএ জানায় দেয়, ‘ইউরার এখতিয়ার অনুযায়ী নাম পরিবর্তন নিয়ে নতুন কোন পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ নেই।’
আইডিআরএ মুখপাত্র ও উপসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বীমা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন লাভের এতগুলো বছর পর কেন নাম পরিবর্তন করতে হবে- তা বোধগম্য নয়। যেহেতু ট্রাস্ট এবং আস্থা দুইটি সম্পূর্ণ আলাদা নাম- তাই এই দুই প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে আইডিআরএ। এক্ষেত্রে নাম পরিবর্তনের কোনো আইনগত সুযোগ নেই, তা অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে।
ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কতৃপর্ক্ষ বলছেন, আইডিআরএ থেকেও তাদের কিছু বলা হয়নি। এমনকি, আরজেএসসি থেকেও কোম্পানীর নাম পরিবর্তনের সুযোগ না থাকার বিষয়টি জানানো হয়েছে। বীমা আইন ও নীতিমালা, আইডিআরএর প্রজ্ঞাপন, সিকিউরিটিজ আইন এবং পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস আইনের বিধি অনুসারে- ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ সারাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে।
ট্রাস্ট লাইফের সিইও মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ট্রাষ্ট ইসলামী লাইফ সারাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। আমাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছি। নাম পরিবর্তনের মতো কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নি। যদি কোনো কারণে এখন ট্রাস্ট ইসলামী লাইফকে নাম পরিবর্তন করতে হয়, তবে দেশব্যাপী প্রতিষ্ঠানটির সব শাখার সকল কাগজপত্রে নাম পরিবর্তন করতে হবে। এক্ষেত্রে বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি যেসব গ্রাহক পলিসি গ্রহণ করেছেন- তারাও হবেন ভোগান্তির শিকার।
গিয়াস উদ্দিন আরো বলেন, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। কোম্পানি আইন অনুসারে জয়েন্ট স্টক রেগুলেটরি থেকে নিবন্ধিত হয়ে, আইডিআরএর অনুমোদন নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ এক যুগে কখনোই নামের বিষয়ে কোনো আপত্তি ওঠেনি। এমনকি, আর্মি ওয়েল ফেয়ার থেকেও ট্রাস্ট নিয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। কোম্পানি আইন, বীমা আইন ও সিকিউরিটিজ আইন পরিপালন করে কাজ করছে ট্রাস্ট।