ন্যাশনাল লাইফের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এম হায়দার চৌধুরীর ইন্তেকাল
ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম হায়দার চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানী ঢাকার একটি হাসপাতালে গত বুধবার (১০ এপ্রিল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
এম হায়দার চৌধুরী বাংলাদেশে বেসরকারী খাতে ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠার পথ প্রদর্শক এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার দুঃসাহসিক পদক্ষেপে দেশে বেসরকারি খাতে সর্বপ্রথম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স ও সর্বপ্রথম ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
পরর্তীতে তিনি এনসিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল হাউজিং এন্ড ফিন্যান্স, ওমান-বাংলাদেশ লিজিং ও ভেনচার বাংলাদেশ পার্টনার্সসহ বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তাকে অনুসরণ করেই দেশে বেসরকারি খাতে ব্যাংক-বীমার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটে।
এম হায়দার চৌধুরী ১৯৮৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর একটানা ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এ দীর্ঘ সময় ন্যাশনাল লাইফের দায়িত্ব পালনের সুবাধের তিনি সারা দেশে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়ান এবং বীমাকে সাধারণ মানুষের দৌরগড়ায় পৌঁছে দেন। তিনি কোম্পানিকে একটি শক্তশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর দাঁড় করান। তার রেখে যাওয়া ভিত্তিকে অনুসরণ করে পরর্তীতে কোম্পানি অনেক এগিয়ে যায়। বর্তমানে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স বিশাল এক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তার মৃত্যুতে ন্যাশনাল লাইফ পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
মরহুম এম হায়দার চৌধুরীকে গত ১১ এপ্রিল পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের নামাজ শেষে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার আজিজ ফাজিলপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় গুলশান আজাদ মসজিদে, দ্বিতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয় দাগনভূঞা উপজেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ও তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয় আজিজ ফাজিলপুর গ্রামে নিজ বাড়ীর দরগায় অবস্থিত মসজিদ প্রাঙ্গনে। অনুষ্ঠিত তিনটি জানাযায় অসংখ্য লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।