বীমা খাতে বিআইএ’র অবদান অনেক : কাজিম উদ্দিন
বীমা খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে বিআইএ গুরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। গঠনের পর থেকেই সংগঠনটি বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে নিয়ন্ত্র কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। ইতোপূর্বে যারা সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন তারা সকলেই বীমা শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জনাব শেখ কবির হোসেনের বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তা-চেতনায় বাংলাদেশের বীমা খাত অনেক এগিয়ে গেছে।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়নেও বিআইএ অবদান রেখেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ যখন অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ায় তখন প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের নেতৃত্বে বিআইএ’র নির্বাহী কমিটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদ্মা সেতু নির্মাণে বীমা শিল্পের লাইফ ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব পেশ করেন। যদিও পরবর্তীতে পদ্মা সেতু নির্মাণে বীমা শিল্পের লাইফ ফান্ড থেকে বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয়নি, কিন্তু বিআইএ’র বিনিয়োগ প্রস্তাব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনেক উৎসাহ যুগিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বীমা শিল্পের প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দৃষ্টিপাত করেন। শেখ কবির হোসেনের অনুসন্ধানী দৃষ্টির ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা শিল্পে সম্পৃক্ততা ও যোগদানের তারিখ উদঘাটিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বীমা শিল্পে যোগদানের তারিখ ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করেন।
দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা বীমা কোম্পানিগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) সম্প্রতি তিন যুগ অতিক্রম করেছে। বীমা খাতের অসামান্য অবদান রেখে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
মো. কাজিম উদ্দিন। দেশের প্রথম বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৭ সালে তিনি এজেন্ট হিসেবে ন্যাশনাল লাইফে যোগদান করেন। একনিষ্ঠ পরিশ্রম, মেধা আর সততায় ভর করে তিনি বর্তমানে কোম্পানির শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
২০১৪ সাল থেকে তিনি উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদসহ সুদীর্ঘ ৩৬ বছর ন্যাশনাল লাইফের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কৃতিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২০ সালের ২২ জুন তিনি কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। তার নেতৃত্বে বীমা কোম্পানিটি সকল সূচকে দেশের শীর্ষতম কোম্পানিতে পরিণত হয়। সফলতার ধারাবাহিকতায় কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে সিইওর দায়িত্ব দিয়েছে।
বিগত দিনে ১৯৩৮ সালের বীমা আইনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বীমা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বীমা কোম্পানিগুলো পরিচালিত হতো। বিআইএ’র পদক্ষেপের ফলে সরকার বীমা আইন যুগোপযোগী করে ২০১০ সালে আইডিআরএ গঠন করে।
আইডিআরএ গঠন বিআইএ’র সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আইডিআরএ গঠনের ফলে বীমা কোম্পানিগুলোতে জবাবদিহিতাসহ শৃংখলা ফিরে এসেছে। আগে ছাড়পত্র ছাড়াই এক কোম্পানির লোক আরেক কোম্পানিতে চলে যেতো। বর্তমানে এখন আর এ সুযোগ নেই।
আইডিআরএ গঠন, নতুন বীমা আইন প্রবর্তন ও জাতীয় বীমা দিবসসহ বীমা শিল্পের সার্বিক উন্নয়নে বিআইএ জড়িত। প্রেসিডেন্ট জনাব শেখ কবির হোসেনের প্রচেষ্টায় জাতীয় বীমা দিবসে কোম্পানিগুলোকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান বিআইএ’র অন্যতম অবদান।