বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুপারভিশন জোরদার করেছে আইডিআরএ: জয়নুল বারী
1 min read

বীমা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুপারভিশন জোরদার করেছে আইডিআরএ: জয়নুল বারী

বীমা খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) অফলাইন ও অনলাইন সুপারভিশন জোরদার করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী। বুধবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবসের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, ক্রৈমাসিক ভিত্তিতে বীমা কোম্পানিগুলোর অবস্থান পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আধুনিক রিস্কলেস সুপারভিশন পদ্ধতি প্রচলন এবং করপোরেট গভর্ন্যান্স গাইডলাইন প্রণয়ন করে তার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সকলের সহযোগিতায় এবং আইডিআরএ’র সার্বিক তত্বাবধানের ফলে বীমা খাতের বিভিন্ন সূচকে উন্নতি অর্জিত হয়েছে বলেও জানান বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

তিনি বলেন, ২০২৩ সালে বীমা প্রিমিয়াম বাবদ মোট আয় হয়েছে ১৬ হাজার ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যা ২০২২ সালের চেয়ে ৯.১৫ শতাংশ বেশি। বীমা খাতে প্রতি বছর প্রিমিয়ামের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ শতাংশ। বীমা দাবি পরিশোধ এবং নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইডিআরএ সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে।

আইডিআরএ চেয়ারম্যান জানান, ২০২৩ সালে বীমা দাবির মোট পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৭শ’ কোটি টাকা। এরমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ১০ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। বীমা দাবি পরিশোধের হার ৬৫ শতাংশ। দাবি পরিশোধের এ হার বিগত বছরের চেয়ে শতকরা ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। লাইফ বীমার ক্ষেত্রে দাবি পরিশোধের হার শতকরা ৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ৭২ ভাগে উন্নিত হয়েছে। বীমা দাবি পরিশোধে এ অর্জন অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক।

মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, বীমা পণ্যের বৈচিত্রকরণ, তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে বীমা পণ্য তৈরি, বীমা দাবি প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইন্স্যুরটেক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে তথ্য প্রযুক্তি খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের মেধা এবং উদ্যোমকে কাজে লাগিয়ে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, এ বছর তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে বীমা পণ্য বিপননের জন্যে ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু করা হচ্ছে। ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের নিকট বীমা পণ্য বিক্রি এবং বীমা বিয়য়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবে। ব্যাংকের উচ্চশিক্ষিত দক্ষ এবং প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে বীমাপণ্য বিপননের ফলে সার্বিকভাবে বীমার প্রচার এবং প্রসার ঘটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

বীমার গুরুত্ব তুলে ধরে আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, জীবন এতটাই অনিশ্চিত যে ভবিষ্যতে এমন কিছু হতে পারে এমন কিছু আগে থেকে আন্দাজ করা প্রায় অসম্ভব। বীমা এমন একটি ব্যবস্থা যা আপনাকে আস্থার সাথে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে। একটি ছোট্ট বীমা পলিসিও কঠিন সময়ে আপনার প্রিয়োজনকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে। কিছু বীমা পলিসি আছে সুরক্ষা ও বিনিয়োগের দ্বিমুখী সুবিধা প্রদান করে থাকে।

এছাড়ার সম্পদ ও ব্যবসা বাণিজ্য, কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা, চুরি-ডাকাতি ইত্যাদি ক্ষতি পূরণের জন্য নানা রকমের বীমার প্রচলন রয়েছে। বিভিন্ন বীমা সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নিজের জন্য প্রযোজ্য বীমা পলিসি গ্রহণ করে নিজের ও আপনজনের ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য সবার প্রতি আহবান জানান আইডিআরএ চেয়ারম্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *