লাইফ ফান্ডে ন্যাশনাল লাইফের বিশেষ গুরুত্ব
1 min read

লাইফ ফান্ডে ন্যাশনাল লাইফের বিশেষ গুরুত্ব

দেশের শীর্ষতম জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড লাইফ ফান্ড সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে কোম্পানিটির লাইফ ফান্ড বা জীবন তহবিলের পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, টেকসই অর্থনৈতিক অবস্থা ও যথা সময়ে বীমা দাবি পরিশোধসহ সকল সূচকে এগিয়ে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ। তবে লাইফ ফান্ডের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. কাজিম উদ্দিন।

কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে কোম্পানির লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ছিলো ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা। ২০২২ সাল শেষে লাইফ ফান্ডের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। আর সদ্য সমাপ্ত ২০২৩ সাল শেষে অনিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী ন্যাশনাল লাইফের লাইফ ফান্ড হয়েছে ৫ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সিইও কাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এক বছরে কোম্পানির লাইফ ফান্ড বেড়েছে ৪৭৬ কোটি টাকা।

কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা জানান, লাইফ ফান্ডের ৯৫ শতাংশই (সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ৩৮% সহ) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা আছে।

লাইফ ফান্ড নিয়ে সম্প্রতি ন্যাশনাল লাইফের সিইও মো. কাজিম উদ্দিন বলেন, কোম্পানির আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় ও গ্রাহকের দাবি পরিশোধের সক্ষমতা বজায় রাখতে গত ৩৯ বছর ধরে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড লাইফ ফান্ডের টাকা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে আসছে।

তিনি বলেন, অতীতে ন্যাশনাল লাইফে কখনও আর্থিক সংকট দেখা দেয়নি, ভবিষ্যতেও এমন সম্ভাবনা নেই। প্রতি বছরে লাইফ ফান্ডে নতুন করে টাকা যোগ হচ্ছে। এ জন্য ন্যাশনাল লাইফ আজ বিশাল আর্থিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে।

কাজিম উদ্দিন বলেন, ন্যাশনাল লাইফ যথাসময়ে গ্রাহকের দাবি পরিশোধ করে। পাশাপাশি গ্রাহককে সকল প্রকার সেবা প্রদান করে। বাংলাদেশে একমাত্র সর্বাধিক পলিসি বোনাস প্রদান করে ন্যাশনাল লাইফ। ২০২২ সালে ১০৫১ কোটি টাকা দাবি পরিশোধ করায় ২০২৩ সালে জাতীয় বীমা দিবসে সরকার ন্যাশনাল লাইফকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে। এ ছাড়া ন্যাশনাল লাইফে কর্পোরেট সুশাসন, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বজায় থাকা এবং স্বচ্ছ আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন প্রফেশনাল সংগঠন ন্যাশনাল লাইফকে পুরস্কৃত করছে। তারমধ্যে সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টস-সাফা গোল্ড অ্যাওয়ার্ড অন্যতম। এসব অর্জনের মধ্য দিয়ে ন্যাশনাল লাইফ দেশের বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

কাজিম উদ্দিন ২০২০ সালের নভেম্বরে ন্যাশনাল লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি কোম্পানির ব্যবসায়িক অগ্রগতিতে ঈর্ষণীয় ভূমিকা পালন করেন।

২০১৯ সালে যেখানে কোম্পানির প্রিমিয়াম আয় ছিল ১০০০ কোটি টাকা সেখানে ২০২০ সালে তা দাঁড়ায় ১২০১ কোটি টাকায়। ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি পায় যথাক্রমে ১৪২২ ও ১৬১৬ কোটি টাকায়। কাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ন্যাশনাল লাইফ দ্বিতীয় শীর্ষ জীবন বীমা কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *