ইসলামী ইন্স্যুরেন্সে নতুন নিয়োগ ১২শ’, অতিরিক্ত ব্যয় ১৮ কোটি টাকা
২০২১ সালে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স অতিরিক্ত ব্যয় করেছে ১৮ কোটি টাকা। বছরটিতে ১২শ’ জন নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ দিয়েছে কোম্পানিটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে কোম্পানিটির প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে এই বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগসহ অতিরিক্ত ব্যয়ের তথ্য পায় আইডিআরএ। এই নিয়োগ অস্বাভাবিক বলে মনে করছে বীমা খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
ফলে অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও কোম্পানিটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির নামের তালিকাসহ ব্যাংক হিসাব ও ব্যাংক বিবরণীর তথ্য চেয়েছে আইডিআরএ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক চিঠিতে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডকে এসব নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ২০২১ সালে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স অতিরিক্ত ব্যয় করে ১৮ কোটি ১ লাখ টাকা। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য ১০টি কারণ উল্লেখ করে ব্যাখ্যা দেয় বীমা কোম্পানিটি। তবে এসব ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় কোম্পানিটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত মার্চ মাসে ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করে আইডিআরএ’র পরিদর্শন দল।
পরিদর্শন দলের প্রতিবেদন অনুসারে, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স ২০২১ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় করে ৩৩ কোটি ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। যা ২০২০ সালে ছিল ১৩ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বেড়েছে ১৯ কোটি ৪৫ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
এছাড়া ২০২১ সালে বীমা কোম্পানিটি উৎসব ভাতা বাবদ ব্যয় করে ৩ কোটি ৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা। যা ২০২০ সালে ছিল ১ কোটি ৯৩ লাখ ২ হাজার টাকা। এই খাতটিতেও এক বছরের ব্যবধানে ব্যয় বেড়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৭ হাজার টাকা।
পরিদর্শন প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১ সালে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম আয় করে ৯১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে অগ্নি ও অন্যান্য বীমা প্রিমিয়াম আয় ৪১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা; ব্যয় করে ২০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। নৌ বীমায় প্রিমিয়াম আয় করে ৪৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; ব্যয় করে ২৪ কোটি টাকা।
তবে অগ্নি ও অন্যান্য বীমা ব্যয়ের অনুমোদন ছিল ১৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং নৌ বীমায় ব্যয়ের অনুমোদন ২৪ কোটি ৭১ লাখ টাকা।
এর আগে ২০২০ সালে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স অতিরিক্ত ব্যয় করে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা। অতিরিক্ত এই ব্যয়ের জন্য ২ লাখ টাকা জরিমানা করে আইডিআরএ।
এ বিষয়ে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল খালেক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন উল্লেখ করে লাঞ্চের পরে ফোন দিতে বলেন। পরে বিকেলে তার সঙ্গে আবারো যোগাযোগ করা হলে তিনি কোম্পানির সেক্রেটারির সাথে আলাপ করতে বলেন। তবে কোম্পানি সেক্রেটারির মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি।